Friday, 27 January 2017

নিয়ে নিন বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি উপন্যাস

নিয়ে নিন বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি সেরা উপন্যাস..
সাহিত্য সম্রাটের বিখ্যাত উপন্যাস




কৃষ্ণকান্তের উইল

কপালকুণ্ডলা

দূর্গেশনন্দিনী

চৌধুরানী



ফেসবুকে আমিঃ Facebook.com

Thursday, 26 January 2017

নিয়ে নিন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার কিছু ইবুক

নিয়ে নিন শেক্সপিয়ারের কিছু ইবুকঃ


রোমিও এন্ড জুলিয়েট
দ্য টেমপেস্ট

Tuesday, 17 January 2017

Top Download link



AUDIO SONG ZONE 


Bangla Audio song: লিংক:  এখানে ক্লিক করুন
Hindi Audio song :লিংক:     এখানে ক্লিক করুন



SOFTWARE ZONE
Android apps: লিংক:এখানে ক্লিক করুন
Islamic download zone : click here

পদার্থ বিজ্ঞান (পরমাণু)




পরমাণু (Atomic)





পরমাণুর ইতিহাস


ভারতীয় দার্শনিক কণাদ খ্রীস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে
পরমাণুর ধারণা দেন । তিনি বলেন সকল পদার্থই ক্ষুদ্র এবং
অবিভাজ্য কণিকা দ্বারা তৈরী।পরমাণু তত্ত্ব গ্রিক দার্শনিকেরা
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে নয়, বরং দার্শনিক
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পদার্থের তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন।
এ ধারার প্রথম দার্শনিক ছিলেন মিলেতুসের লেউকিপ্পুস
(খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী)। তাঁর বিখ্যাত শিষ্য আবদেরার
দেমোক্রিতুস আনুমানিক ৪৩০ খ্রিস্তাব্দে সমস্ত পদার্থ
যেসব অতিক্ষুদ্র অবিভাজ্য কণা দিয়ে গঠিত তাদের নাম দেন
আতোমোস (গ্রিক : atomos), যার আক্ষরিক অর্থ
“অবিভাজ্য”। দেমোক্রিতুস বিশ্বাস করতেন পরমাণুগুলি সুষম,
শক্ত, অসংকোচনীয় ও এগুলি ধ্বংস করা যায় না। তিনি মনে
করতেন পরমাণুর আকার, আকৃতি ও বিন্যাস পদার্থের ধর্ম
নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন প্রবাহী পদার্থের পরমাণুগুলি মসৃণ তাই
সহজেই একে অপরের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। কিন্তু কঠিন
পদার্থের পরমাণুগুলি খাঁজকাটা ও অমসৃণ তাই এক অপরের সাথে
আটকে থাকে। পরমাণু ছাড়া পদার্থের বাকী অংশ কেবলই
শূন্যস্থান। দেমোক্রিতুসের দর্শনে পরমাণু শুধু পদার্থের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের আত্মা ও ইন্দ্রিয়ের ধারণার
সাথেও এটি জড়িত। যেমন তিনি মনে করতেন পদার্থের টক
স্বাদ সূঁচালো পরমাণুর কারণে আর সাদা রঙ মসৃণ পরমাণুর কারণে
সৃষ্টি হয়। মানুষের আত্মার পরমাণুগুলিকে মনে করা হত খুবই মিহি
ধরনের। পরবর্তীতে সামোসের এপিকুরুস (৩৪১-২৭০
খ্রিস্টপূর্বাব্দ) দেমোক্রিতুসের দর্শন ব্যবহার করে
প্রাচীন গ্রিকদের কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি
বলেন মহাবিশ্বের সবকিছুই পরমাণু ও শূন্যস্থান নিয়ে গঠিত, তাই
গ্রিক দেবতারাও প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্ধ্বে নন। পরবর্তীতে
প্লাতো ও আরিস্তোতল দেমোক্রিতুসের দর্শনের
বিরোধিতা করেন। প্লাতো এটা মানতে চাননি যে সৌন্দর্য ও
মহত্ব বস্তুবাদী পরমাণুর যান্ত্রিক প্রকাশ। আর আরিস্তোতল
শূন্যস্থানের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন কেননা ভিন্ন ভিন্ন বস্তু
একই বেগে শূন্যস্থান অতিক্রম করবে এটা তিনি কল্পনা করতে
পারেননি। আরিস্তোতলের এই ধারণা মধ্যযুগীয় খ্রিস্টান
ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করে। রোমান ক্যাথোলিক
পুরোহিতেরা দেমোক্রিতুসের দর্শনকে বস্তুবাদী ও না।


"পরমাণুর গঠন"


পরমানুর গঠন কেমন হতে পারে , তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা
অনেক গবেষণা করেছেন । এর মধ্যে অন্যতম হলো
ডাল্টনের পরমানুবাদ । আধুনিক রসায়ন এর ভিত্তি বলে পরিচিত
ডাল্টনের পরমাণুবাদে পরমাণুকে অবিভাজ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু
এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত
হয় যে, পরমাণুকে আর সূক্ষ কণায় বিভক্ত করা যায় । যেসব
সূক্ষ কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে ।
এরা হচ্ছে ইলেকট্রন , প্রোটন এবং নিউট্রন । এ তিনটি কণিকা
বিভিন্ন সংখ্যায় একত্রিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু গঠন করে ।
ধনাত্মক আধানযুক্তপ্রোটন এবং আধানহীননিউট্রন একত্রিত
হয়ে নিউক্লিয়াস গঠন করে আর এদেরকে ঘিরে
ঋণাত্মক আধানেরইলেকট্রন ঘুরছে ।

"ইলেকট্রন "

পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা ইলেকট্রন ।১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যার
জে. জে. থমসন সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব
আবিষ্কার করেন। একটি ইলেকট্রনের আসল ভর অতি সামান্য
9.1085×10 −28 g। ইলেকট্রনের আধান -1.6×10 −19 কুলম্ব ।
ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান। ইলেকট্রনক। 
সাধারণত e প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

"প্রোটন "

প্রোটন ধণাত্মক আধান বিশিষ্ট কণিকা যা নিউক্লিয়াসের মধ্যে
থাকে। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড
প্রোটনের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।একটি পরমাণুতে
ইলেকট্রনের সমান সংখ্যক প্রোটন থাকে। প্রোটনের
ভর 1.673×10 −24 g যা পারমাণবিক ভর স্কেল অনুসারে
1.007276 amu (এখানে amu হল atomic mass unit )। একটি
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন সরিয়ে
নিলেই প্রোটন পাওয়া যায় তাই একে H +বলা যেতে পারে।
একে সাধারণত p দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।


" ইলেকট্রন "

ইলেকট্রন ও প্রোটনের ন্যায় নিউট্রনও একটি মৌলিক কণিকা
তবে এটি আধানবিহীন ।আধানবিহীন(neutral) হওয়ায় এর এই
নাম দেয়া হয়েছে। নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থান
করে। ১৯৩২ সালে জেমস চ্যাডউইক নিউট্রন আবিস্কার
করেন। এর আসল ভর 1.675×10 −24 g যা পারমাণববিক ভর
স্কেল অনুসারে 1.008665 amu। এর ভর ইলেকট্রনের ভরের প্রায় 1839 গুণের সমান।
 একে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
 নিউট্রন পরমানুর কেন্দ্রে প্রোটনের সাথে যুক্ত
 থাকে। এই দুই কণিকার সম্মিলিত ভরকে পারমানবিক
ভর বলা হয়ে থাকে ।

পরমাণুবাদ 


রাদারফোর্ড প্রস্তাবিত পরমাণু মডেল


বোর প্রস্তাবিত পরমাণু মডেল

ডাল্টনের পরমাণুবাদ

১৮০৩ সালে ইংরেজ পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানী জন
ডাল্টন পরমাণু সম্পর্কে একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন যা
ডাল্টনের পরমাণুবাদ নামে পরিচিত। তাঁর প্রদত্ত পরমাণুবাদে
মোট পাঁচটি স্বীকার্য আছে । এই স্বীকার্য পাঁচটি হলো–
1. পদার্থ অতি ক্ষুদ্র কণাসমূহ দ্বারা গঠিত, এই কণাগুলোর নাম
পরমাণু।
2. একই পদার্থের পরমাণুসমূহের আকার, ভর এবং অন্যান্য
বৈশিষ্ট্য একই রকম হয়, ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের পরমাণুসমূহের
আকার, ভর এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ভিন্নরকমের হয়।
3. পরমাণুসমূহ বিভাজিত, সৃষ্টি বা ধ্বংস হতে পারে না।
4. সরল পূর্ণসংখ্যক অনুপাতে বিভিন্ন পদর্থের পরমাণু সংযুক্ত
হয়ে রাসায়নিক যৌগের সৃষ্টি করে।
5. রাসায়নিক বিক্রয়াসমূহে পরমাণু সংযোজিত, বিভক্ত বা
পুনর্বিন্যাসিত হয়।
১৮ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ডাল্টনের স্বীকার্যসময়হকে
বিজ্ঞানীরা মেনে নিয়েছিলেন। কারণ স্বীকার্যসমূহ
অস্বীকার করার মতো যথেষ্ঠ তথ্য তাদের ছিল না। ১৮৯৭
সালে [৩] জে জে থমসন ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন। এর
ফলে ডাল্টনের তৃতীয় স্বীকার্যের অংশবিশেষ (পরমাণু
বিভাজিত হতে পারে না) ভুল প্রমাণিত হয়।
থমসন পরমাণু মডেল
১৮৯৮ সাথে বিজ্ঞানী জে জে থমসন এই মডেল প্রস্তাব
করেন। এই মডেল অনুসারে পুডিংয়ের ভিতর কিশমিশ যেমন
বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকে পরমাণুতে ঠিক তেমনি
নিরবচ্ছিন্নভাবে বন্টিত ধনাত্মক আধানের মধ্যে ইলেক্ট্রন
ছড়িয়ে আছে।


রাদারফোর্ডের পরমাণুবাদ

১৯০৯ সালে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা কণিকা
বিক্ষেপণ পরীক্ষা সম্পাদন করেন। পরীক্ষালব্দ্ধ ফলাফল
থেকে ১৯১১ সালে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে,
পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক আধানযুক্ত অত্যন্ত ভারী একটি
মূলবস্তু আছে। একে পরবর্তিতে নাম দেওয়া হয় নিউক্লিয়ার্স।
পরমাণুর বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে ইলেক্ট্রন আর
ইলেক্ট্রনগুলো নিউক্লিয়ার্সকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
নীল্স বোরের পরমাণুবাদ
১৯১৩ সালে ডেনমার্কের পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর তাঁর
পরমাণু মডেলের জন্য দুটি প্রস্তাব রাখেন যা বোরের
স্বীকার্য নামে পরিচিত।
স্থায়ী অবস্থা স্বীকার্য (Postulates of Stationary States)
কম্পাঙ্ক স্বীকার্য (Postulates of Frequency)
পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাস
কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন
শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন
অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই
সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন
বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা

পলির বর্জন নীতি

একটি পরামাণুতে দুটি ইলেক্ট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান
কখনও একই হতে পারে না। অন্ততপক্ষে একটির মান দুটি
ইলেক্ট্রনের বেলায় ভিন্ন হতে হয়।
আউফবাউ নীতি
পরমাণুতে ইলেক্ট্রনসমূহ বিভিন্ন শক্তিস্তর দখলের সময়
প্রথমে সবচেয়ে কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান গ্রহণ
করবে, নিম্ন শক্তিস্তর পূর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী অপেক্ষাকৃত
উচ্চতর শক্তি সম্পন্ন স্তরে গমন করবে।
হুন্ডের সূত্র

একই শক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেক্ট্রনসমূহ
এমনভাবে প্রবেশ করে যেন তারা সর্বাধিক পরিমাণে অযুগ্ম বা
বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে, এ অযুগ্ম
ইলেক্ট্রনসমূহের স্পিন বা ঘূর্ণন একইমুখী হবে। এখানে
একই শক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটাল বলতে ৩টি p অরবিটাল, ৫টি d
অরবিটাল ও ৭টি f অরবিটালকে বোঝানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে s অর্বিটালের জন্য হুন্ডের সূত্র প্রজোয্য
নয়।


অনুগল্প (লেখাঃ মেহেরাজ স্বপ্নিল)



'অনুগল্প'•

লেখাঃ- মেহেরাজ স্বপ্নীল

★• আজ সকাল থেকেই স্পর্শিয়া'র মনটা বেশ খারাপ! 
কাল রাতে কিশোর'র সাথে একটু ঝগড়া হয়েছে কিনা! 
এরপর সারাটা দিনে এক বারের জন্যও ওকে কল করেনি কিশোর,
 স্পর্শিয়া নিজে অনেক বার কল দিয়েছে; কিন্তু, ও রিসিভ করেনি! কোনো মেসেজের রিপ্লাইও দেয়নি! অথচ, সম্পর্কের শুরুর সময়টায়... কি আগ্রহই না ছিলো একে-অপরের প্রতি! এক বেলা কথা না বলে কেউ থাকতেই পারতো না! যেই ভুল করুক, কেউ না কেউ আগে এসে সরি বলতো! এরপর আবারও শুরু করতো একজন আরেকজনের পিছে লাগা, ঝগড়া, মারামারি! শুরু হতো দুজনার মান-অভিমান পর্ব! আবার কিছুক্ষণ পরই ঢং করে সরি বলতো কেউ! এভাবেই কাটতো ওদের সময়! কি দারুণই না ছিলো সেই দিনগুলি! অথচ আজ..!! কেমন যেন হয়ে গেছে সম্পর্কটা! স্পর্শিয়ার কাছে ভীষণ অচেনা লাগতে শুরু করেছে সবকিছু! এই কিশোরকেই কি চেয়েছিলো ও! ভালোবেসেছিলো মন-প্রাণ উজাড় করে! কে জানে! তবে কি বদলাতে শুরু করেছে ভালোবাসা?? পাল্টে যাচ্ছে প্রিয় সে মানুষটা?? পানসে হয়ে আসছে সম্পর্ক??💫• এসব ভাবতে ভাবতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরশাহ্ আমানত হলের সামনে দিয়ে হাঁটছিলো স্পর্শিয়া! এই রাস্তাটা ওর বেশ ভালো লাগে! দুপাশে সারি সারি নারকেল গাছ, মাঝ দিয়ে চলে গেছে নিবিড় ছায়াঘেরা নিশ্চুপ এক রাস্তা! এখান দিয়ে কতবার স্পর্শিয়া আর কিশোর হাত ধরে হেঁটেছে, কতবার গুনগুন করে গেয়ে উঠেছে সেই প্রিয় গান-"এই পথ যদি না শেষ হয়,তবে কেমন হতো, তুমি বলতো...★অহ, এখানে একটু বলে রাখি- এই গল্পের নায়িকা মানে 'স্পর্শিয়া' বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরমনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী! আর কিশোর হচ্ছে, আজ প্রথম অফিস জয়েন করা এক প্রেমিক, যে কিনা এতক্ষণে চুপি চুপি স্পর্শিয়ার পিছে পিছে আসছিলো এবং এরই মাঝে ওর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে!★-- হালুউউউউউউমমমম.... হি হি হি, কিরে হারামি, ভয় পেয়েছিস?? (কিশোর)•(স্পর্শিয়া হতভম্ব! কোন কথা বলতে পারছেনা! শুধু চোখ দুইটা বড় বড় করে তাকিয়ে আছে কিশোর'র দিকে!)•-- কিরে, কথা বল... বোবা-টোবা হয়ে গেলি নাকি আবার! শেষমেশ আমার কপালে কিনা বোবা বউ জুটবে?? ধুরররর... (কিশোর)•-- কুত্তা!!! সারাদিন কোথায় ছিলি তুই?? কতবার তোকে কল দিয়েছি জানিস?? ফোনটা তো অন্তত রিসিভ করবি, আমি কত্তো টেনশনে ছিলাম... (স্পর্শিয়া)•-- ওলেএএএ বাবালে... তুই আর টেনশন!!! তাও আবার আমার জন্য??? হা হা হা... এটা আমাকে বিশ্বাস করতে বলিস... হা হা হা!•-- থাপ্পড় খাবি?? জানিস না, তুই দুরে থাকলে আমার কত অশান্তি হয়?? আবার ঢং করে ফোনটাও রিসিভ করিসনি! কোথায় ছিলি সারাদিন...•-- হুমমম, ফোন তো ইচ্ছা করেই রিসিভ করিনি, আর সারাটা দিনে এতো ব্যস্ত ছিলাম যে...•-- ওরে আমার ব্যস্ত মানুষ রে! তো আপনার কিসের এতো ব্যস্ততা শুনি??•-- আজ একটা মেয়েকে প্রপোজ করবো বুঝলি?? তোকে হেল্প করতে হবে! আর এইটা নিয়েই তো আজ সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম!•(কিশোর'র মুখে এই কথা শুনে আচমকা বুকের ভেতরটায় ব্যথা করতে থাকে স্পর্শিয়া'র! কিশোর এসব কি বলছে? তবে কি ও শুধু বন্ধুত্ব হিসেবেই দেখতো এই সম্পর্কটাকে? এর বেশী কিছুই না??)•-- কিরে, চুপ হয়ে গেলি যে... বল কিছু... হেল্প করবি তো, নাকি?? (কিশোর)•-- হুম, করবো! কি করতে হবে বল?? (স্পর্শিয়া)•-- আপাতত আমার সাথে ঐ ঝর্ণার (কলা ও মানববিদ্যা বিভাগের পেছনে অবস্থিত) ওদিকটায় চল! বাকিটা বলছি...•-- হুম, চল...💫কিছুদূর যাওয়ার পর...💫-- কিশোর, আমার হাতটা একটু ধরবি... (স্পর্শিয়া)•-- হুম... (কিশোর)•-- কিরে? চুপচাপ হয়ে গেলি হঠাৎ...•-- ভাবছি...•-- কি ভাবছিস??•-- উফফফ.. তুই না বড্ড বেশী জ্বালাস! থাম তো একটু!•(এবার স্পর্শিয়ার খুব কষ্ট হয়! আর যাই হোক, কিশোর কোনোদিনই ওর সাথে এমন ব্যবহার করেনি! হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে দ্রুত হাঁটতে থাকে স্পর্শিয়া!)•এদিকে স্পর্শিয়া'র এই কান্ড দেখে মিটিমিটি হাসছে কিশোর আর ধীরেধীরে এগুচ্ছে...)💫একটুপরে কিশোর ঝর্ণার পাশে কাটা পাহাড়টার নিচে এসে পৌঁছে! দেখে, স্পর্শিয়া পাহাড়ের উপর একপাশে বসে খুব কাঁদছে! ভীষণ কষ্ট হয় কিশোর'র! ভেতরটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে আসতে চায়! আর যা কিছুই হয়ে যাকনা কেন, স্পর্শিয়াকে কাঁদতে দেখতে পারেনা ও! একদমই না! ছুটে যায় স্পর্শিয়া'র কাছে...•-- এই দেখি দেখি, আরে... বদমাইশটা দেখি বণ্যায় পুরো চট্টগ্রাম ভাসিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছে! (কিশোর)•(স্পর্শিয়া'র মুখে কথা নেই! চোখ মুছে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে! এই ছেলেকে কোনো বিশ্বাস নেই! কখন যে আবার এটা নিয়ে ক্ষেপানো শুরু করবে কে জানে!)•-- আচ্ছা, রাগ করেছিস আমার উপর?? কথা বলবিনা?? তো রাগ হয়েছে সেটা বললেই হয়, দশ-বারো টা ঠাপ্পড়, চার-পাঁচ টা লাত্থি, আর দুই-এক টা ঘুসি! চলবে??•-- আমি কি তোর সাথে সবসময়ই ঝগড়া আর মারামারি করি?? এতোটাই খারাপ আমি?•-- অবশ্যই খারাপ, তুই হচ্ছিস আমার জীবনে একটা জল্লাদ! প্রত্যেকদিন তো দশ-বারো বার করে মেরে ফেলছিস! কবে না জানি একেবারে ফাঁসি দিয়ে দিবি! (জিহ্বা বের করে ফাঁসি দেওয়ার অভিনয় করে কিশোর)•কিশোর'র এসব কান্ড দেখে হাসতে থাকে স্পর্শিয়া! (হাসলে ওর গালে দুপাশে হালকা ভাবে টোল পরে! তার ওপর পড়ন্ত সূর্যের রশ্মি এসে পরছে স্পর্শিয়া'র চোখেমুখে! সবকিছু মিলিয়ে বেশ মায়াময়ী লাগছে ওকে! কিশোর তাকিয়ে আছে নিষ্পলক...)•-- কিরে? কি হলো? বোকার মতো তাকিয়ে আছিস যে... (স্পর্শিয়া)•-- উ... না কিছুনা! দেখছি তোকে!•-- হইছে, আমাকে অত দেখতে হবেনা! সূর্যটা দেখ, কি দারুণ!!•-- তুই যখন বলছিস, নিশ্চয় দারুণ!•-- অহ, আচ্ছা! তাই? আমি বললেই দারুণ? আর পঁচা বললে?•-- অবশ্যই পঁচা!•-- হুমমমমম... বুঝলাম!•-- না, কিছুই বুঝিসনি তুই!•-- তুই যখন বলছিস, তখন তাই-ই! কিছুই বুঝিনি! এখন তাহলে বোঝা আমাকে...•-- আচ্ছা, তুই কি আজ আমাকে ভালো করে দেখেছিস?? তাকিয়েছিস আমার দিকে??•-- আরেহ্!!! (কিশোর'র দিকে তাকিয়ে বেশ চমকে ওঠে স্পর্শিয়া) তুই দেখি ঐ শার্টটাই পরেছিস আজ! কতবার করে বলেছি শার্টটা পরে একবার অন্তত দেখাস আমাকে! কথাই শুনতে চাস না! তবে যাই বলিস, নীল রঙে যে তোকে দারুণ মানাবে, এটা কিন্তু আমি আগেই জানতাম! হি হি হি... আর জানিস, তোকে আজ অন্যরকমের সুন্দর লাগছে! কেনো বলতো??•-- তোর দেয়া শার্ট পরেছি, ভালো তো লাগবেই!•-- হুমমমম... সেটাও একটা কারন; তবে আসল কারনটা হলো, তুই আজ শার্টের হাতাটা ভাজ করে রেখেছিস! আর তুই যেহেতু একটা বান্দর! তাই তোর চুলগুলো কখনই আঁচড়ানো থাকেনা! তাছাড়া আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে, তুই আজ সকাল থেকেই শার্টটা পরে আছিস! কেমন যেন শ্রান্ত-অবসন্ন দেখাচ্ছে তোকে! মনে হচ্ছে, সারাটাদিন অফিস করে এই মাত্র বাড়ি ফিরলি! হি হি হি! সব মিলিয়ে নতুন বিয়ে হওয়া দুষ্টু-মিষ্টি হাসব্যন্ডটার মতো লাগছে!•(কিশোর বোঝে যে, স্পর্শিয়া'র মন ভালো হয়ে গিয়েছে! এখন ও অনর্গল কথা বলে যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না কিশোর'র মাথাটা ধরে যায়! তারপরও ওকে থামায় না কিশোর! চুপচাপ শুনে যায়, কেমন একটা নিস্তব্ধ ভালোলাগা কাজ করে কিশোর'র ভেতর!)•-- কিরে, তুই চুপ করে গেলি কেনো হঠাৎ?? (স্পর্শিয়া)•-- কিছুনা, এমনিই! তুই বলছিস, আমি শুনছি! কি আর বলব??•-- অহ! এই দেখি দেখি... তাকা তো এদিকে! ইসসসস... আগে জানলে একটা টাই কিনে আনতাম তোর জন্য! একটা টাই হলেই সবটা ঠিক থাকতো! ধুরররর...•-- হুমমম, স্পর্শিয়া... একটা কথা বলি?•-- হঠাৎ পারমিশন চাচ্ছিস যে?? সিরিয়াস কিছু কি? বল...•-- না, তেমন কিছুনা! আসলে... আসলে... স্পর্শিয়া, আমি তোকে একটা দায়িত্ব দিতে চাই! তুইনিবি?•-- হ্যা, হ্যা, বল?? কি দায়িত্ব নিতে হবে আমাকে? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে নাকি সংসদের স্পিকার হতে হবে?? বল, বল! হি হি হি...•-- না, ওসব কিছুনা! তবে ওর চেয়েও কঠিন একটা দায়িত্ব!•-- এই!!! সত্যিই সিরিয়াস কিছু নাকি?? দেখ, ফাজলামি করবিনা একদম!•-- না না! ফাজলামি করবো কেনো? আমি কি ফাজিল নাকি? আমি হচ্ছি, ফাঁসির আসামী! আর তুই হবি, আমার জল্লাদ! কিরে? হবি...•-- মানে কি?? কি উল্টাপাল্টা বলছিস তুই? ফাঁসি মানে?? অই, তুই নিশ্চয় সারাদিনে কিছু খাসনি! চলতো আমার সাথে! ওঠ!•স্পর্শিয়া হাত ধরে টেনে তুলতে যায় কিশোরকে! কিশোর ওঠে ঠিক, কিন্তু সামনে এগোয় না!বরঞ্চ স্পর্শিয়াকেই টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে!•-- কিরে? যাবিনা?? (স্পর্শিয়া)•উত্তর নেই কিশোর'র মুখে! স্পর্শিয়ার আরেকটু কাছে এগিয়ে যায় ও!•-- স্পর্শিয়া, তোর মনে পরে? তুই বলতি, তোর বর সামান্য বেতনের একটা চাকরী করবে! ছোট্ট একটা সংসার হবে তোদের! সারাটাদিন সে কাজ করবে অফিসে আর তুই করবি সংসারের কাজ! দিনশেষে অপেক্ষা করবি, একজন আরেকজনের জন্য! মাঝেমাঝে তোর জন্য তোর বর বেলী ফুলের মালা হাতে ঘরে ফিরবে! আরো কত্তো কি... মনে পরে?•-- হুম, পরে! আর আমাদের ছুটির দিনগুলো হবে একটু অন্যরকম! দুজনে মিলে রান্না করবো, ঘর সাজাবো! বিকেলের দিকে একটু বেড়াতে যাবো! টাকা যদি কম পরে তো দূরে কোথাও যাওয়ারপ্রয়োজন নেই, এই আশেপাশেই হাঁটবো দুজন মিলে! আমার হাতটা ধরে রাখবে ও! মাঝেমাঝে দূরে কোথাও গিয়ে জ্যোৎস্না-বিলাসকরবো আমরা! ও হ্যা, প্রতিদিন সকালে অফিস যাওয়ারআগে আমি ওর টাই বেঁধে দিবো! আর ও বাধ্য ছেলের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে! মাথার চুলগুলো একটু এলোমেলো থাকলেই ভালো লাগে কিনা! তাই ওগুলো আঁচড়ানো যাবে না! হয়তো অফিস গিয়ে একটু শেইম ফীল করবে! তাও! হি হি হি...•-- হি হি হি! (কিশোর ভেঙ্গাচ্ছে স্পর্শিয়াকে) হুহ!!! জল্লাদ একটা!•-- মানে কি!! জল্লাদ মানে??•-- জল্লাদ-ই তো! প্রতিদিন স্বামীর গলায় ফাঁসির দড়ি পরাবি! হুহ...•-- অহ, আচ্ছা বুঝলাম! হা হা হা... হুম, তার জন্য নাহয় জল্লাদ-ই হলাম!•-- হুমমম, তো ম্যাডাম, এই জল্লাদ টা কি আমার জন্য হওয়া যায়??•-- মানেহ্!!!•-- স্পর্শিয়া, আমি একটা চাকরী পেয়েছি! আর আজ ছিলো আমার প্রথম অফিস! জানিস, আমি টাই পরে যাইনি দেখে অফিসে বেশ অপমান হয়েছি! কিন্তু, কি করবো বল? আমার ঘরে তো টাই পরিয়ে দেয়ার জন্য কোনো জল্লাদ নেই! তুই কি আমার জল্লাদ হবি? (এই বলে কিশোর প্রশ্নের ভঙ্গিমায় একটা আকাশী রঙা টাই বাড়িয়ে ধরে স্পর্শিয়ার সামনে)•(স্পর্শিয়া বেশ অবাক হয় কিশোর'র চাকরীর খবর শুনে! বেশ কিছুক্ষণ সময় নেয়, তারপর কিশোর'র কথার উত্তর করে)•--ও আচ্ছা, তাই না... কিন্তু, আমার যে জল্লাদ হতে আরো একটা শর্ত পূরণ করতে হবে!•-- জ্বী, বলেন... কি শর্ত?•-- আসলে, আমি যে আসামীটার (মানে আমার স্বামী এহেম!) জন্য জল্লাদ নিযুক্ত হবো, যার গলায় দড়ি পরাবো, তার বুকপকেটের নিচে থাকা গোপন প্রকোষ্ঠটায় আজীবনের বাসিন্দা করতে হবে আমাকে! সে কি আমায়......•-- অহ! বাঁচলাম!! হুমমম, অবশ্যই জনাবা, অবশ্যই! তো এখন কি আমার গলায় মালাটা দেয়া যায়???•কিশোরের হাত থেকে টাইটা কেড়ে নেয় স্পর্শিয়া! কাঁধে লাগিয়ে কাছে টেনে নেয় কিশোরকে! কিশোর'র চোখের চশমায় এসে পরছে ডুবন্ত সূর্যের মায়াবী আভা! তারই মাঝে দেখছে মিষ্টি হাসি হাসা অপরুপ এক মায়াবতীকে!•স্পর্শিয়া মাথা রেখেছে কিশোরের বাম বুকে! ওর বুক পকেট থেকে ভেসে আসছে বকুল ফুলেরমিষ্টি সুবাস! স্পর্শিয়া জানে, ফুলগুলো ওরই জন্য আনা হয়েছিলো! কিন্তু ওকে দিতে ভুলে গিয়েছে কিশোর! তবুও চুপ থাকে ও! এই মুহূর্তে একটা শব্দ বলেও ক্ষণটাকে নষ্ট করতে চায়না স্পর্শিয়া!এদিকে ঝর্ণার পানিতে উপচে পরছে পড়ন্ত বিকেলের অদ্ভুত ভালোবাসা! ছোট্ট এক লালচে বাদামী পিঙল রঙা মায়া-হরিণ চেয়ে আছে ওদের দিকে! অসম্ভব লাজুক সে দৃষ্টি! এভাবেই আজীবন বেঁচে থাকুক ভালোবাসা, ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো! পৃথিবী বিস্ময়ে দেখে যাক, কত ভালোবাসা লুকানো আছে, সময়ের প্রতি ভাজে!!!•পুনশ্চঃ- গল্পটা ২০ তারিখে পোস্ট করার ইচ্ছা ছিলো! কিন্তু, আমার ভাই গল্পটা আজই পড়বে! তাই এখানেই ইতি টানলাম! ভাই, গল্পটা তোর জন্য!•-- পুনঃ পুনশ্চঃ- গল্পে নায়িকার নামটা দিয়েছেন নায়ক নিজেই! কিন্তু, নায়ক নিজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছা দেখানোয় অন্য একটি নাম ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি!